সতর্কতা! অনিয়ন্ত্রিত রপ্তানিতে দূষিত সিরাপ বিদেশে পৌঁছানোর ঝুঁকি – ডব্লিউএইচও

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সম্প্রতি সতর্ক করেছে যে দূষিত কফ সিরাপ অবৈধ বা অনিয়ন্ত্রিত পথে বিদেশে রপ্তানি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু দেশে শিশু মৃত্যুর সঙ্গে বিষাক্ত সিরাপ জড়িত থাকার পর এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, কিছু কফ সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকল (DEG) এবং ইথিলিন গ্লাইকল (EG) নামে দুটি শিল্প-ব্যবহৃত বিষাক্ত রাসায়নিক পাওয়া গেছে। ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO) নিশ্চিত করেছে যে অন্তত তিনটি সিরাপে এই রাসায়নিকগুলো রয়েছে। তবে, এ পর্যন্ত কোনো দূষিত ব্যাচ সরকারি রপ্তানি তালিকায় নেই।

তবুও WHO আশঙ্কা করছে যে অবৈধ বা অননুমোদিত পথে এসব ওষুধ বিদেশে পৌঁছাতে পারে। এই ধরণের পণ্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে যায়, ফলে সেগুলোর গতিপথ শনাক্ত করা কঠিন।

WHO সব দেশের জাতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে (NRAs) নির্দেশ দিয়েছে যে তারা বাজার তদারকি কঠোর করুক এবং বিশেষ করে অবৈধ বিক্রেতা ও বিতরণকারীদের উপর নজর রাখুক।

ভারতের কিছু রাজ্য ইতিমধ্যেই কফ সিরাপের মান পরীক্ষার অভিযান শুরু করেছে। উদাহরণস্বরূপ, কর্ণাটক রাজ্য শতাধিক নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছে। সন্দেহভাজন সিরাপের বিক্রি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে এবং ডিজিটাল ওষুধ পুনরাহ্বান (রীকল) ব্যবস্থা চালুর কাজ চলছে।

WHO বলেছে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণে সমন্বয় না থাকলে এই ধরনের বিষাক্ত ওষুধ আবারও বৈশ্বিক বাজারে পৌঁছে শিশুদের প্রাণহানি ঘটাতে পারে।