WHO জানাল – Mpox আর বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা নয়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ঘোষণা করেছে যে মাঙ্কিপক্স (Mpox) আর আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা (PHEIC) হিসেবে গণ্য করা হবে না। WHO-র জরুরি কমিটি প্রতি তিন মাসে একবার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছিল। সর্বশেষ পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে কঙ্গো ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক, বুরুন্ডি, সিয়েরা লিওন এবং উগান্ডা-তে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার ক্রমাগত কমছে। পাশাপাশি, সংক্রমণের ধরণ, ঝুঁকির কারণ এবং নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা তৈরি হয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতেই WHO মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

তবে WHO স্পষ্ট করে দিয়েছে, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার মানে এই নয় যে হুমকি একেবারে শেষ হয়েছে। শিশু ও এইচআইভি আক্রান্তদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে পর্যবেক্ষণ এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। সংস্থার মতে, ভবিষ্যতে স্থানীয়ভাবে নতুন প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে, তাই সব দেশকে সতর্ক থাকতে হবে।

এদিকে, আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (Africa CDC) Mpox-কে এখনও মহাদেশীয় জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে দেখছে। সংস্থার মতে, যদিও সাপ্তাহিক নিশ্চিত কেস 52% কমেছে, তবুও ঘানা, লাইবেরিয়া, কেনিয়া, জাম্বিয়া এবং তাঞ্জানিয়া-তে নতুন সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Mpox একটি ভাইরাল জুনোটিক রোগ। প্রথমদিকে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা, পিঠে ব্যথা এবং লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। পরে শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। বেশিরভাগ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠেন, তবে কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা বা মৃত্যু ঘটতে পারে। মে 2022 থেকে এখন পর্যন্ত ১০০-র বেশি দেশ Mpox সংক্রমণের খবর দিয়েছে। WHO জানিয়েছে, বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার হলেও আফ্রিকার জন্য এটি এখনও বড় চ্যালেঞ্জ।