.png)
এক ঐতিহাসিক রায়ে, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অনুচ্ছেদ ২১ অনুযায়ী মানসিক সুস্থতাকে জীবনের অধিকারের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই রায়টি এক ১৭ বছর বয়সী NEET পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যুর প্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারগুলিকে ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিরাপদ মানসিক পরিবেশ নিশ্চিত করা আইনি বাধ্যবাধকতা হয়ে উঠবে।
অধিকারকর্মীরা এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলে প্রশংসা করেছেন—মানসিক স্বাস্থ্যকে এখন শুধুমাত্র কল্যাণমূলক বিষয় নয়, বরং একটি আইনগতভাবে কার্যকর অধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এটি ২০১৭ সালের মেন্টাল হেলথ কেয়ার অ্যাক্ট-কে আরও শক্তিশালী করে তোলে, যা নাগরিকদের সংবিধানিক অধিকার হিসাবে বিচারপ্রাপ্তির পথ খুলে দেয়।
এখন দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা, কাউন্সেলিং-এর অ্যাক্সেস এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রায় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সমাজে প্রচলিত কলঙ্ক অনেকটাই কমাতে পারে এবং মনোভাবের পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে।