
হায়দরাবাদের ডাক্তাররা এখন আগের থেকে অনেক বেশি তরুণ পেশাজীবীদের দীর্ঘস্থায়ী পিঠ, ঘাড় ও কাঁধের ব্যথার জন্য চিকিৎসা করছেন — এবং এদের বেশিরভাগই মাত্র কুড়ির কোটায়। খারাপ ভঙ্গি, অস্বস্তিকর ডেস্কের সেটআপ, দীর্ঘ যাত্রা এবং অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম চুপিচুপি ডিস্ক সমস্যা, সন্ধির জড়তা এবং তাড়াতাড়ি হাড় ক্ষয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
“প্রায় এক দশক আগেও ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে ডিস্ক বাল্জ বা ক্রনিক ব্যাক পেইন খুব কম দেখা যেত। এখন এটা সাধারণ হয়ে গেছে,” বলেন অর্থোপেডিক এবং স্পোর্টস ইনজুরি বিশেষজ্ঞ ডাঃ কিরণ গৌড়। “হাইব্রিড ওয়ার্ক সিস্টেম ব্যাপারটা আরও খারাপ করেছে। মানুষ বিছানা, সোফা বা গাড়ির পিছনের সিট থেকে কাজ করছে — এটা স্পাইন ক্ষয়ের জন্য আদর্শ পরিস্থিতি।”
তাঁর অনেক রোগী অভিযোগ করেন জড়তা, পায়ে ব্যথা ছড়ানো, বা হালকা অবশ ভাব নিয়ে। “অনেকে মাসের পর মাস এটাকে খারাপ ভঙ্গি বলে ভাবেন। কিন্তু MRI করলে দেখা যায় মেরুদণ্ডে প্রাথমিক ক্ষয়,” তিনি বলেন।
একজন ২৭ বছর বয়সী মার্কেটিং প্রফেশনাল, যিনি গত দুই বছর ধরে সোফা আর গদিতে বসে কাজ করছিলেন, দাঁড়িয়ে ২০ মিনিট থাকতেই পারতেন না। “MRI-তে হালকা ডিস্ক বাল্জ আর মাংসপেশির ভারসাম্যহীনতা পাওয়া যায়,” বলেন ডাঃ গৌড়। “এখন এমনটা ৩২–৩৩ বছর বয়সীদের মধ্যেও সার্জারির পর্যায়ে চলে গেছে।”
সমস্যা শুধু বসার চেয়ার নয়। “মানুষ দিনে ১০–১২ ঘণ্টা বসে থাকে এবং খুব কম হাঁটে। শরীরের কেন্দ্রের পেশির (core strength) অভাব এবং নমনীয়তার অভাব পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তোলে।”
“এটা চেয়ারের ব্যাপার না, এটা নড়াচড়ার ব্যাপার। যদি আপনি চার ঘণ্টা টানা বসে থাকেন, তাহলে সেই চেয়ার যতই ভালো হোক, তেমন উপকার হবে না।”
তিনি পরামর্শ দেন: প্রতি ঘণ্টায় একটু হাঁটা, সঠিক ভঙ্গিমার অনুশীলন, এবং নিয়মিত স্ট্রেচিং করা।
“আপনার মেরুদণ্ড একটা সংযুক্ত টাওয়ারের মতো। একটা অংশ দুর্বল হলে পুরো কাঠামো ধসে পড়ে।”