
অনেক তরুণ-তরুণী অনিচ্ছাকৃতভাবে তাদের ত্বকের প্রাকৃতিক সুরক্ষা স্তরটি (স্কিন ব্যারিয়ার) ক্ষতিগ্রস্ত করছে অতিরিক্ত ক্লিনজিং এবং সক্রিয় উপাদানে ভরপুর স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের কারণে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাঁরা বার্নিং, লালচে ভাব, চুলকানি এবং অতিসংবেদনশীলতার মতো সমস্যা দ্রুত বাড়তে দেখছেন — যা কম যত্নের কারণে নয়, বরং অতিরিক্ত যত্নের কারণে হচ্ছে।
“আমি যে তরুণী রোগীদের দেখি, তাদের অর্ধেকই অ্যাকনে বা শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভোগেন, আর তাঁরা একসাথে পাঁচ-ছয়টি প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন,” বলেন হায়দরাবাদের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মীনাল কুমার। “তাঁরা দিনে তিন-চার বার মুখ ধুচ্ছেন, এক্সফোলিয়েটিং ফেসওয়াশ ব্যবহার করছেন, তারপর টোনার, ভিটামিন C, নাইয়াসিনামাইড, এবং রেটিনল ব্যবহার করছেন — এইসব কিভাবে একসাথে কাজ করে, তা না বুঝেই।”
ফলে, এই রকম লেয়ারিং এবং ঘন ঘন মুখ ধোয়ার ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ দুর্বল হয়ে পড়ছে। ফলস্বরূপ, ত্বক থেকে বেশি জল হারাচ্ছে, সংবেদনশীলতা বাড়ছে এবং ব্রেকআউট হচ্ছে। “এখন আমাদের স্কিনকেয়ারের জন্য হওয়া ক্ষতিই চিকিৎসা করতে হচ্ছে,” বলেন ডাঃ কুমার।
তাঁর এক ২৪ বছর বয়সী রোগী ছিলেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, যাঁর ত্বক লালচে ও চামড়া উঠছিল। “সে দিনে চারবার ফোমিং ক্লেনজার ব্যবহার করছিল এবং প্রতিদিন অ্যাসিড লাগাচ্ছিল। তার ত্বক প্রায় পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। সে ভাবছিল এটি নতুন কোনো অ্যালার্জি, কিন্তু আসলে স্কিন ব্যারিয়ার ধ্বংস হয়েছিল,” বলেন তিনি।
অতিরিক্ত পরিচ্ছন্নতার মনোভাবও দায়ী। “মানুষ এখন ত্বকে তেল বা ঘাম দেখলে চিন্তিত হয়ে পড়ে। কিন্তু ঘন ঘন ধোয়ার ফলে প্রাকৃতিক তেল এবং মাইক্রোবায়োম ধ্বংস হয়ে যায়।”
ব্র্যান্ডগুলিও একে বাড়িয়ে দিচ্ছে। “তারা বলে যেন ত্বক ভালো রাখতে হলে দশটা স্টেপ দরকার। কিন্তু ত্বক সেভাবে কাজ করে না, তার একটা সীমা আছে।”
তাঁর পরামর্শ: দিনে দুইবার মাইল্ড ক্লেনজার, একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন। “বাকি কিছু ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, সোশ্যাল মিডিয়া দেখে নয়।”