.png)
জুন ২৭ PTSD সচেতনতা দিবস উপলক্ষে, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রোহন মেনন হায়দরাবাদের বিভিন্ন স্কুল ও কর্মস্থলে সচেতনতামূলক সেশন চালু করছেন। তার উদ্দেশ্য স্পষ্ট — মানুষ যেন দীর্ঘমেয়াদী সমস্যায় পরিণত হওয়ার আগেই ট্রমা চিনতে পারে।
কখনও এই উপসর্গগুলি ঘুমের সমস্যা হিসেবে দেখা যায়। কখনও অকারণ রাগ বা ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ আতঙ্ক। ডাঃ মেনন বলেন, আমরা যেটাকে “চিন্তা বেশি করা” বা “স্ট্রেস” বলি, তা আসলে এমন ট্রমার প্রতিক্রিয়া যেটা ঠিকমতো প্রক্রিয়াজাত হয়নি।
PTSD বা পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার এমন কোনো ভয়ঙ্কর বা প্রাণঘাতী ঘটনার পর দেখা দেয়। এটি হতে পারে গাড়ি দুর্ঘটনা, আক্রমণ, চিকিৎসাজনিত বিপদ অথবা আবেগগত নির্যাতন। বিপদ কেটে যাওয়ার পরেও মস্তিষ্ক সতর্ক থাকে।
“PTSD সবসময় নাটকীয়ভাবে দেখা দেয় না। অনেকেই এই অবস্থায়ও অফিস যায়, পরিবার চালায়, এবং স্বাভাবিক দেখায়। কিন্তু ভিতরে ভিতরে তারা ক্লান্ত ও উদ্বিগ্ন থাকে,” তিনি বলেন। “তারা বিচ্ছিন্ন মনে করতে পারে, সেই ঘটনার স্মৃতি এড়াতে চায়, অথবা দুঃস্বপ্ন ও অপরাধবোধে ভোগে।”
তিনি বলেন, বেশিরভাগ রোগী বুঝতেই পারে না তারা কী পার করছে। “তারা উদ্বেগ বা মুড সুইং-এর জন্য আসে। আমরা যখন তাদের অতীত নিয়ে কথা বলি, তখনই সব স্পষ্ট হয়।”
চিকিৎসার মধ্যে থাকে থেরাপি এবং ওষুধ। “আমরা trauma-focused CBT ব্যবহার করি, এবং মাঝে মাঝে SSRI জাতীয় ওষুধ। লক্ষ্য হলো স্মৃতি মুছে ফেলা নয়, সেই স্মৃতির সঙ্গে যুক্ত ভয় কমানো,” তিনি বলেন। বেশিরভাগ রোগী ৮–১২ সেশনের মধ্যে ভালো বোধ করে, তবে কারো কারো ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী সাহায্য লাগে।
তিনি বলেন, ট্রমা নিয়ে চুপ করে থাকা উচিত নয়। “সবসময় বলি না যে সময়ই সব কিছু সারিয়ে তোলে। কখনও সময় শুধু ব্যথার চারপাশে এক শক্ত খোলস তৈরি করে। এমন সচেতনতা দিবস আমাদের কথা বলার, মন দিয়ে শোনার সুযোগ দেয়।”